Thursday, February 18, 2016

নিরাপদ খাদ্য প্রয়োজন সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও অপব্যবহার রোধে ‘ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৪’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। গত ৩০ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে এটি অনুমোদন পায়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত আইনটি কার্যকর হলে কেউ লাইসেন্স ছাড়া ফরমালিন আমদানি, উত্পাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে না। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের চাহিবামাত্র কর্তৃপক্ষকে ফরমালিনের হিসাব দেখাতে হবে এবং লাইসেন্সপ্রাপ্তদের ফরমালিনের হিসাব রাখতে হবে। এ আইনের আওতায় যে অপরাধ, তা কগনেজিবল বা আমলযোগ্য হবে। আইনটি অমান্যের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদিত খসড়া আইনটি এখন বিল আকারে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হবে এবং জাতীয় সংসদে পাস হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে এটি আইনে পরিণত হবে।
মানুষের খাদ্যে বিশেষ করে মাছ, ফলমূল, দুধে ব্যাপক আকারে ফরমালিনের ব্যবহার রোধে ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নকে যে জনগণ স্বাগত জানাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আইনটি প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে এর সফল বাস্তবায়নের ওপর। রাজধানী ঢাকায় যাতে ফরমালিন মিশ্রিত ফলমূলসহ অন্যান্য খাবার প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য রাজধানীর সব প্রবেশপথে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য রাজধানীর ১৩৬টি বাজারে স্থায়ী বুথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, এসব বুথ শিগগির চালু হবে এবং এগুলোয় কাজ করবেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসব ভালো পদক্ষেপ।
তবে যে বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকা ও সভা-সেমিনারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে তা হলো, খাদ্যদূষণ রোধে পুরো দৃষ্টি ফরমালিনের ওপর নিবদ্ধ হলেও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও উপাদান যেমন— কার্বাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক, কীটনাশক, কৃত্রিম রঙ, সিসা ইত্যাদির খাদ্যে ব্যবহার যেন পার পেয়ে না যায়। কারণ এসব রাসায়নিক ও উপাদান মানবদেহের জন্য ফরমালিনের চেয়ে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়। বর্তমানে রোজায় রাজধানীসহ শহরাঞ্চলে ইফতারিসামগ্রীর ব্যবসা ছিল জমজমাট। অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেল থেকে শুরু করে প্রতিটি রেস্টুরেন্টের প্রধান ব্যবসা ছিল ইফতারি বিক্রি। বিকাল থেকেই রাজধানীর অলিগলিতে, মোড়ে মোড়ে চেয়ার টেবিল পেতে অস্থায়ী দোকানগুলোয় ইফতারির পসরা সাজানো হতো। এগুলো কি ভেজালমুক্ত? মোটেই নয়। ‘ইফতারির অনিবার্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজু-বেগুনি ভাজতে ব্যবহার করা হয়েছে ইঞ্জিনের পোড়া মবিল। জিলাপি ভাজা হয়েছে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হাইড্রোজ দিয়ে। মুড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে ইউরিয়া সার। জুস-শরবতে ব্যবহার করা হয়েছে রাসায়নিক দ্রব্য’ (যুগান্তর, জুলাই ২)। এদিকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ফলে, বিশেষ করে লিচু ও আমে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কীটনাশক দেয়া লিচু খেয়ে ২০১২ সালে দিনাজপুরে দুই থেকে ছয় বছর বয়সী ১৪ জন শিশুর মৃত্যুর কথা কি আমরা সহজে ভুলতে পারব? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও সমুদ্রবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একাধিক গবেষণার বরাত দিয়ে প্রথম আলোর ২ জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কীটনাশক, রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ আর শিল্পকারখানা থেকে নির্গত হওয়া বিষাক্ত বর্জ্য মাটি ও পানির মাধ্যমে শস্য, ফল ও সবজিতে প্রবেশ করছে, যা খাদ্যের মাধ্যমে চলে যাচ্ছে মানবদেহে।
এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, রাজধানীর হাজারীবাগ, আদাবর ও শ্যামলীতে গড়ে ওঠা পোলট্রিফিড কারখানাগুলোয় ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরি হচ্ছে। এসব খাবারে রয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ক্রোমিয়াম, যা মুরগির মাংস, ডিম এবং মাছের মাধ্যমে মানুষের দেহে ঢুকে পড়ছে। এগুলো মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ফিড ব্যবহার করে উত্পাদিত মুরগি, ডিম এবং মাছ খেয়ে মানুষের লিভার ও কিডনির মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাছাড়া ক্যান্সার সৃষ্টি করার মতো উপাদান রয়েছে এতে।
তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির। খাদ্যে ভেজাল রোধে বেশ কয়েকটি আইন থাকলেও সর্বশেষ প্রণীত নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ যুগোপযোগী ও যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ আইনে ভেজাল খাদ্যের সংজ্ঞার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া হয়েছে। ‘ভেজাল খাদ্য’ অর্থ এমন কোনো খাদ্য বা খাদ্যদ্রব্যের অংশ, (ক) যাকে রঞ্জিত, স্বাদ-গন্ধযুক্ত, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ বা আকর্ষণীয় করতে এরূপ পরিমাণ উপাদান দ্বারা মিশ্রিত করা হয়েছে, যে পরিমাণ উপাদান মিশ্রিত করা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং যা কোনো আইনে নিষিদ্ধ; বা (খ) যাকে রঞ্জিতকরণ, আবরণ প্রদান বা আকার পরিবর্তন করার জন্য এমন কোনো উপাদান মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে মিশ্রিত করা হয়েছে, যার ফলে মূল খাদ্যদ্রব্যের ক্ষতিসাধিত হয়েছে এবং যার ফলে এর গুণাগুণ বা পুষ্টিমান হ্রাস পেয়েছে; বা (গ) যার মধ্য থেকে কোনো স্বাভাবিক উপাদানকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে অপসারণপূর্বক অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যের ভিন্ন কোনো উপাদান মিশ্রিত করার মাধ্যমে আপাত ওজন বা পরিমাণ বৃদ্ধি বা আকর্ষণীয় করে ক্রেতার আর্থিক বা স্বাস্থ্যগত ক্ষতিসাধন করা হয়।
এ আইনে নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা-সম্পর্কিত বিধি-নিষেধের বিস্তারিত বর্ণনা আছে। এগুলো হলো— এক. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অথবা বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক দ্রব্য বা এর উপাদান বা রাসায়নিক (যেমন— ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, সোডিয়াম সাইক্লামেট), কীটনাশক বা বালাইনাশক (যেমন— ডিডিটি, পিসিবি তৈল ইত্যাদি), খাদ্যের রঞ্জক বা সুগন্ধি, আকর্ষণ সৃষ্টি করুক বা না করুক, বা অন্য কোনো বিষাক্ত সংযোজন দ্রব্য বা প্রক্রিয়া সহায়ক কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না। দুই. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবিধান দ্বারা বা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনের অধীন নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তাসম্পন্ন বা বিকিরণযুক্ত পদার্থ অথবা প্রাকৃতিক বা অন্য কোনোভাবে থাকা কোনো সমজাতীয় পদার্থ বা ভারী ধাতু কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না। তিন. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ভেজাল খাদ্য বা খাদ্যোপকরণ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উত্পাদন অথবা আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করতে পারবেন না। চার. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের আহার্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত মান অপেক্ষা নিম্নমানের কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উত্পাদন অথবা আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করতে পারবেন না। পাঁচ. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিমাণ খাদ্য সংযোজন-দ্রব্য বা প্রক্রিয়াকরণ সহায়ক দ্রব্য কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না অথবা এরূপে প্রস্তুতকৃত কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করতে পারবেন না। ছয়. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে কোনো ভেজাল দ্রব্য মিশ্রণ করার উদ্দেশ্যে শিল্পকারখানায় ব্যবহূত তৈল, বর্জ্য বা কোনো ভেজালকারী দ্রব্য তার খাদ্যস্থাপনায় রাখতে বা রাখার অনুমতি প্রদান করতে পারবেন না।
সাত. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ মজুদ, সরবরাহ বা বিক্রয় করতে পারবেন না। আট. কোনো ব্যক্তি বা তার পক্ষে নিয়োজিত অন্য কোনো ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রবিধান দ্বারা বা আপাতত বলবত্ অন্য কোনো আইনের অধীন নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক বা বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ পশু বা মত্স্য রোগের ওষুধের অবশিষ্টাংশ, হরমোন, অ্যান্টিবায়োটিক বা বৃদ্ধি প্রবর্ধকের অবশিষ্টাংশ, দ্রাবকের অবশিষ্টাংশ, ওষুধপত্রের সক্রিয় পদার্থ, অণুজীব বা পরজীবী কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণে ব্যবহার বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না বা এরূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোনো খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যোপকরণ মজুদ, বিপণন বা বিক্রয় করতে পারবেন না।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা এবং এ লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ আইনে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধান করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ’ গঠনের বিধান রয়েছে আইনে।
এ আইনে খাদ্য ব্যবসায়ীদের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক খাদ্য ব্যবসায়ী এ আইন বা এর অধীন বিধি ও প্রবিধি প্রতিপালন করে তার নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসার মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য উত্পাদন, প্রক্রিয়াকরণ, আমদানি, বিতরণ ও বিপণনের নিশ্চয়তা প্রদান করবেন।
খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর দায়ে অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে। পুনরায় একই অপরাধের দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত স্থাপনের বিধান করা হয়েছে। একজন প্রথম শ্রেণীর বিচারিক বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা প্রতিটি বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত গঠন হবে।
নিরাপদ খাদ্য আইন গত বছর অক্টোবরে জাতীয় সংসদে পাস হলেও বিধিমালা প্রণীত না হওয়ায় আইনটি কার্যকর হয়নি। টিআইবিসহ বিভিন্ন সংস্থা আইনটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এরই মধ্যে দাবি জানিয়েছে। সর্বশেষ দেশের সব নাগরিকের জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে লিগাল অ্যাকশন বাংলাদেশের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ ২০ জুলাইয়ের এক আদেশে সরকারকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ বিধিমালাসহ গেজেট আকারে প্রকাশ করে দুই মাসের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। আইনটি কার্যকর ও পুরোপুরি প্রয়োগ করা হলে দেশে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি বহুলাংশে নিশ্চিত হবে।
সবশেষে যা বলা দরকার তা হলো, নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে আইন, বিধি বা প্রবিধান প্রণয়ন ও গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশই যথেষ্ট নয়। এজন্য দরকার এগুলোর সফল বাস্তবায়ন। গত চার দশকে কোনো সরকারই এ কাজ করতে সক্ষম হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, খাদ্যে ভেজাল মেশানোর সঙ্গে অনেক রাঘববোয়াল জড়িত, যাদের ক্ষমতার ভিত খুব শক্তিশালী। তাদের রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। এদের অনেকে সময়ে সময়ে ক্ষমতায় আসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ক্ষমতাসীন সরকার আগ্রহী হয় না। তাই নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা তালিকায় বাংলাদেশের দুর্বল অবস্থানে থাকার অন্যতম কারণ হলো নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অনিশ্চয়তা।
লেখক: মো. আবদুল লতিফ মণ্ডল সাবেক সচিব ও কলাম লেখক

Thursday, November 26, 2015

NATUROPATHY CENTER: টমেটোর কিছু উপকারিতা

NATUROPATHY CENTER: টমেটোর কিছু উপকারিতা: টমেটো একটি দৃষ্টিনন্দন শীতের সবজি। এটি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। সবজি হিসেবে টমেটোর জুড়ি অনেক। টমেটো আমাদের দেশে সারা বছর পাওয়া...

Wednesday, September 9, 2015

NATUROPATHY CENTER: আপনি কি এক একাধিক ডিজেনারেটিভ (জীবননাশকারী দুঃসাধ্...

NATUROPATHY CENTER: আপনি কি এক একাধিক ডিজেনারেটিভ (জীবননাশকারী দুঃসাধ্...: আপনি কি এক একাধিক ডিজেনারেটিভ (জীবননাশকারী দুঃসাধ্য) রোগে আক্রান্ত ? কোন ঔষধে নিরাময় হচ্ছে না ? তাহলে একমাস জীবন্ত খাবার খান এবং ঔষধ ছা...

Wednesday, August 19, 2015

NATUROPATHY CENTER: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক

NATUROPATHY CENTER: স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক: স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ। যদি কোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ অথবা ফেটে যায়, তবে শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই লক্ষণ যদি এক দ...

Tuesday, February 12, 2013

ডায়াবেটিজ নিরাময়ের সন্ধানে



Wv‡q‡ewUR / eûgyÎ

Kx?
kix‡i cywói fvimvg¨Zv wewNœZ Ae¯’vq Pj‡Z _vK‡j GKUv ch©v‡q c¨vbwµqvm A_©vr AMœ¨vkq †_‡K Bbmywjb bvgK ni‡gvb wbtmiY K‡g hvq| djkÖæwZ‡Z †k¦Zmvi ev Kv‡e©vnvB‡WªW, d¨vU Ges †cÖvwU‡bi †gUvewjRg A_©vr ivmvqwbKfv‡e cwieZ©‡bi cÖwµqv e¨vnZ nq| ZLb kixi Møy‡KvR‡K kw³‡Z iƒcvšÍwiZ Ki‡Z cv‡i bv d‡j i‡³ Rgv nq| hLb cÖwZ 100 wgwjwjUvi i‡³ Møy‡Kv‡Ri cwigvY ¯^vfvweK gvÎv Qvwo‡q hvq ZLb Zv wKWwbi gva¨‡g cÖmv‡e Dc‡P co‡Z ïiæ K‡i| cÖmv‡e MøyKv‡Ri gvÎv cÖKvk cvIqv Ae¯’v‡K Wv‡q‡ewUR e‡j| i‡³ Møy‡KvR Av‡m Lv`¨ †_‡K # wPwb Ges Ab¨vb¨ wgwóRvZxq Lv`¨ †_‡K Av‡m mivmwi Avi fvZ, Avjy, iæwU A_©vr †k¦ZmviRvZxq Lv`¨ †_‡K Av‡m wecv‡Ki gva¨‡g|



jÿY :
i‡³ myMv‡ii gvÎv †e‡o †M‡j A¯úó `„wó, wccvmv e„w×, ÿzav e„w×, Nb Nb weeY© cÖmve, IRb K‡g hvIqv, nvZ I cv‡qi gvsm †ckx e¨_v nIqv, kix‡ii †h†Kvb ÿZ wbivgq n‡Z mgq †ewk jvMv, Pvgovi is e`‡j hvIqv, †Pnvivi jveY¨ K‡g hvIqv Ges Lye K¬všÍ jvMv BZ¨vw` DcmM© †`Lv w`‡e| GQvov i‡³ myMv‡ii gvÎv wbqš¿‡Y bv ivL‡j wKWwb, †Pv‡Li my¯’¨Zv Ges mœvqyZ‡š¿i Kvh©KvwiZv wewNœZ nIqvi DcmM© †`Lv †`‡e|

Wv‡q‡ewU‡Ri aib :
Wv‡q‡ewUR ZLb †`Lv †`‡e hLb kixi G‡Kev‡iB Bbmywjb Drcv`b Ki‡Z cvi‡e bv A_ev Ki‡jI Zv hZmvgvb¨| G Ae¯’vq AwZwi³ Møy‡KvR i‡³ Rgv _vK‡e Ges cÖPÐ wccvmv n‡e Ges Nb Nb cÖmv‡ei Pvc Abyf~Z n‡e|

UvBc # 1
GB Wv‡q‡ewU‡R AvµvšÍ n‡j nVvr K‡i kix‡ii IRb K‡g hv‡e, ÿzav †e‡o hv‡e, `„wó Svcmv n‡q †h‡Z cv‡i, mœvqyZ‡š¿i Kvh©ÿgZv nviv‡Z _vK‡e, nvZ cv‡qi †ckx e¨_v n‡Z cv‡i| mgqg‡Zv Gi wPwKrmv bv Kiv‡j fq¼i me †ivM n‡Z cv‡i| †hgb: wKWwb, wjfvi, †PvL Gi Kvh©ÿgZv nviv‡Z cv‡i| bvf©vm wm‡÷g ¯’vqxfv‡e weKj n‡Z cv‡i GgbwK g„Zy¨I n‡Z cv‡i| GUv‡K fq¼i Wv‡q‡ewUR wnmv‡e wPwýZ Kiv n‡q _v‡K| GB †ivMUv †h†Kvb eq‡mi †Q‡j-†g‡q‡`i GgbwK ev”Pv Ae¯’vq n‡Z cv‡i| UvBc-1 Wv‡q‡ewUR n‡j Aek¨B Jla (wcj- A_ev Bb‡RKkb) MÖnY K‡i GUv‡K wbqš¿‡Y ivL‡Z n‡e Ges GUvI †Lqvj ivL‡Z n‡e ‡hb i‡³ cÖ‡qvR‡bi Zzjbvq Møy‡KvR K‡g bv hvq| i‡³ Møy‡Kv‡Ri cwigvY †ewk n‡jI ‡hgb Lvivc †Zgwb gvÎvwZwi³ K‡g †M‡jI kix‡i bvbviKg cÖwZwµqv †`Lv †`‡e| †hgb: gv_ve¨_v, ÿzav, nvZ-cv Kvcv `ye©j Ges cÖPzi Nvg †ei nIqv| GB Ae¯’vq Jl‡ai e`‡j wPwbi kieZ A_ev †Kvbai‡bi wgwó †L‡q i‡³ Møy‡Kv‡Ri cwigvY ¯^vfvweK ch©v‡q Avb‡j wec` †K‡U hv‡e|


UvBc # 2
Gai‡bi Wv‡q‡ewUR A‡bKUv ax‡i ax‡i kix‡i cÖKvk cvq| ZvB mvaviYZ eq¯‹ †jvK‡`i g‡a¨ †`Lv †`q| Aek¨ hyeK Ges ga¨ eqmx‡`i †`Lv w`‡Z cv‡i hw` Zviv Ajm Rxebhvcb Ges wgwóRvZxq Lv`¨`ªe¨ MÖn‡Y Af¨¯’ nq|

UvBc#1 Ges UvBc#2 Wv‡q‡ewUR Gi DcmM© cÖvqGKB iKg ïay nVvr K‡i kix‡ii IRb K‡g hvq bv Ges kix‡ii KgbxqZv bó nq bv| wbqwgZ e¨vqvg Ges Lv`¨ wbqwš¿Z Ki‡j mn‡RB UvBc#2 Wv‡q‡ewUR wbqš¿‡Y ivLv hvq|


UvBc # 3
2005 mv‡j GUv Avwe®‹…Z n‡q‡Q| †eªb †_‡K Bbmywjb Drcv`b Kivi ms‡KZ †`Iqv eÜ n‡jB †Kej GB ai‡bi Wv‡q‡ewUR n‡q _v‡K| cy•Lvbycy•Liƒ‡c GB Wv‡q‡ewUR nIqvi KviYmgyn DrNvwUZ nq bvB| Z‡e M‡elKMY m‡›`n K‡i‡Qb GUvi m‡½ Avj‡SBgvi †iv‡Mi m‡½ †R‡bwUK m¤úK© Av‡Q|

Mf©msµvšÍ Wv‡q‡ewUR
GB †ivM Mf©avwiYx gwnjv‡`i n‡q _v‡K| wVKg‡Zv wbqš¿Y bv Ki‡j gv Ges Zvi ev”Pvi ¯^v‡¯’¨i ÿwZi KviY n‡Z cv‡i| GUv mvaviYZ Mf©avi‡Yi 24 †_‡K 28 mßvn c‡i †`Lv ‡`q| ev”Pv nIqvi ci GB Wv‡q‡ewUR †m‡i hvq Ges Rxe‡bi cieZx© mg‡q GUv Avi bvI †`Lv w`‡Z cv‡i| Avevi Ab¨ †Kvb Kvi‡Y †`Lv w`‡Z cv‡i|

Mf©msµvšÍ Wv‡q‡ewUR G AvµvšÍ nIqvi m¤¢ve¨ KviYmg~n:

  • 25 ermi eq‡mi D‡aŸ© ,
  •   hw` cvwievwiK Wv‡q‡ewUR Gi BwZnvm _v‡K,
  •   c~‡e©i Rš§v‡bv ev”Pvi IRb hw` 9 cvD‡Ûi Dc‡i nq,
  • kix‡ii IRb AwZwi³ n‡j,
  • RvwZMZfv‡e Kvj i‡Oi †g‡q‡`i g‡a¨ GB †ivM †ewk †`Lv hvq|


Wv‡q‡ewUR cÖwZ‡iv‡ai Dcvq:
UvBc#1 Wv‡q‡ewUR cvwievwiKfv‡e i³ m¤úwKZ© wbKU AvZœx‡qi g‡a¨ †_‡K _v‡K Ges †ivM cÖwZ‡iva ÿgZv `ye©j _v‡K Z‡e GUv‡K cÖwZ‡iva Kiv LyeB `yiƒn| M‡elYvq †`Lv †M‡Q, ev”Pv‡`i Lvev‡i h‡_ó cwigv‡Y wfUvwgb wW _v‡K Zvn‡j UvBc#1 Wv‡q‡ewU‡Ri AvµgY A‡bK Kg nIqvi m¤¢vebv _v‡K| civgk© †`Iqv nq ev”Pviv †hb h‡_ó cwigv‡Y wfUvwgb wW mg„× `ya cvb K‡i hv UvBc#1 Wv‡q‡ewUR Gi cÖwZ‡laK wnmv‡e KvR Ki‡e| cÖPzi cixÿv wbixÿvq M‡elKMY †`‡L‡Qb evev-gv‡qi UvBc#1 Wv‡q‡ewUR _vK‡j †ewkifvM †ÿ‡Î ev”Pv‡`i GB ‡ivM nIqvi m¤¢vebv †_‡KB hvq|

UvBc#2 Wv‡q‡ewUR cÖwZ‡iva†hvM¨| RxebcÖYvwj Lv‡`¨i †gby e`j Ges wbqwgZ e¨vqvg K‡i GUv‡K wbqš¿Y Kiv hvq| GB ‡iv‡M †KvbiKg Jla Gi cÖ‡qvRb nq bv| cÖwZw`b wbqwgZfv‡e 45 wgwbU †Rv‡i nvU‡j Ges Lv‡`¨ cÖPzi dj Ges mewR ivL‡j mn‡RB fv‡jv _vKv hvq| GQvov w`‡bwZb evi LvIqvi cwie‡Z© Qqev‡i Aí Aí K‡i †L‡j i‡³ Møy‡Kv‡Ri cwigvY mn‡R wbqwš¿Z n‡Z cv‡i|

UvBc # 2 Wv‡q‡ewUR †ivMx‡`i m¤¢ve¨ PvwiwÎK ˆewkó¨ :

  •  eqm 45 ev Zvi Dc‡i
  • D”PZvi Zzjbvq kixi IRb A‡bK †ewk
  • Ajm cÖK…wZi| KvwqK cwikªg wegyL _vKvi cÖeYZv
  • wcZv-gvZvi Wv‡q‡ewUR _vK‡j
  • †g‡q‡`i †ÿ‡Î c~‡e© 9 cvD‡Ûi †ewk IR‡bi ev”Pv Rš§ w`‡j
  • Mf©avi‡Yi 24 mßvn c‡i hw` KviI Wv‡q‡ewUR †`Lv †`q Zv UvBc#2 wnmv‡e MY¨ n‡e
  • D”P i³Pvc _v‡K
  • hw` i‡³ wjwcW (HDL) Gi gvÎv 35 Gi wb‡P _v‡K Ges UªvBwMøwmivBW Gi gvÎv 250 Gi Dc‡i _v‡K|


Wv‡q‡ewU‡Ri wPwKrmv:
mwZ¨ K_v ej‡Z Wv‡q‡ewUR m¤ú~Y©fv‡e wbg©yj Kivi †Kvb Jla GLb ch©šÍ Avwe®‹vi nq bvB| A_©vr GB ‡ivM GKevi n‡j mviv Rxeb Avcbvi m½x n‡q _vK‡e| Z‡e Wv‡q‡ewU‡Ri ARmª Jla cvIqv hvq| A¨v‡jvc¨vw_K, KweivwR, BDbvwb, A¨vwKD‡cÖmvi, †nvwgI †_‡K ïiæ K‡i bvbviKg MÖvg¨ †UvUKv Jla|

GBme Jla †meb Ki‡j Wv‡q‡ewU‡Ri gvÎv wKQzUv wbqš¿‡Y ivLv hvq gvÎ | m¤ú~Y© wbivgq nq bv| Wv‡q‡ewUR wbqš¿Y ivL‡Z GKUv myk„•Lj Rxebhvc‡bi Af¨vm M‡o Zzj‡Z n‡e| my¯’¨ I ¯^vfvweK Rxebhvcb Kivi Rb¨ PvB

  • kix‡ii mwVK IRb
  • mwVK cywóKi Lv`¨
  • wbqwgZ †flR Jla
  • e¨vqvg
  • k„•LwjZ Rxebhvcb
  • Wv‡q‡ewUR m¤úwK©Z Ávb / wkÿv

 kix‡ii mwVK IRb
IfviI‡qU e‡j GKUv K_v cÖvqB †kvbv hvq| Gi gv‡b cÖ‡qvRbvwi³ IRb| ‡mvRv K_vq Lye †ewk †gvUv n‡j ejv nq IfviI‡qU|

Wv‡q‡ewU‡Ri †ÿ‡Î †ewk IRb GKUv eo mgm¨v| M‡elYvq †`Lv ‡M‡Q kix‡ii evowZ IRb Kgv‡Z cvi‡j Wv‡q‡ewUR wbqš¿Ymn Ab¨ A‡bK Amy‡Li nvZ †_‡K †invB cvIqv hvq|

†hgb:

  • Bbmy¨wj‡bi cÖwZ kix‡ii cÖwZ‡iva K‡g, d‡j i³ kK©ivi cwigvY wbqš¿‡Y myweav nq|
  • nv‡U©i AmyL Ges ‡÷ªvK nevi m¤¢vebv K‡g
  • eøvW†cªmvi K‡g
  • i‡³ wjwcW ‡cÖvdvBj Gi fvimvg¨Zv eRvq _v‡K| A_©vr †Kv‡j÷‡ij Ges UªvBwMø‡mivB‡Wi cwigvY K‡g
  • A‡bK mn‡R Pjv‡div Kiv hvq| (KviI kix‡ii IRb ¯^vfvwe‡Ki PvB‡Z 3 †KwR †ewk nq Zvn‡j Kvh©Z wZwb me©ÿY `yÕnv‡Z evRvi fwZ© _‡j eB‡Qb aiv hvq) |


Kxfv‡e Rvbv hv‡e kix‡ii IRb KZUv _vKv ¯^vfvweK
Wv. wX‡fb we nj kix‡ii ¯^vfvweK IRb wbiƒcY Kivi GKUv wbqg Avwe®‹vi K‡i‡Qb hv mg¯Í wPwKrmv M‡elK‡`i Kv‡Q MÖnY‡hvM¨| kix‡ii (we.Gg.AvB) ewW gvm Bb‡W‡¯‹i Dci wfwË K‡i KbmU¨v›U BDwbU evi K‡i‡Qb hv w`‡q wb‡Pi digyjv e¨envi K‡i mn‡RB †h †Kvb †jvK H BDwbU Ges D”PZv w`‡q wnmve Ki‡j Zvi m‡e©v”P Ges me©wb¤œ IR‡bi †iBbR& evi n‡e|

digyjv:
cyiæl :    me©wb¤œ IR‡bi †ÿ‡Î           0.0294 X (D”PZv X D”PZv) = IRb cvDÛ
            m‡e©v”P IR‡bi †ÿ‡Î         0.0376 X  (D”PZv X D”PZv) = IRb cvDÛ
†g‡q :    me©wb¤œ IR‡bi †ÿ‡Î           0.0272 X (D”PZv X D”PZv) = IRb cvDÛ
            m‡e©v”P IR‡bi †ÿ‡Î         0.0367 X  (D”PZv X D”PZv) = IRb cvDÛ

†hgbt aiv hvK GKRb cyiæ‡li D”PZv 70Ó Zvi IR‡b †iBbR& KZ n‡e|
me©wb¤œ IRb n‡e 0.0294 X ( 70 X 70) = 144.06 cvDÛ  ev 64.02 †KwR
m‡e©v”P IRb n‡e 0.0376 X (70 X 70) = 184.24 cvDÛ ev 81.88 †KwR

70Ó D”PZv †jv‡Ki IRb 64 †KwR †_‡K 81 †KwRi g‡a¨ _v‡K Zvn‡j a‡i wb‡Z n‡e kix‡ii IRb wVK Av‡Q| 64 †KwRi Kg n‡j Lv‡`¨i cwigvY evwoq IRb evov‡Z n‡e Ges 81 †KwRi †ewk nq Z‡e Lv`¨ wbqš¿Y K‡i IRb Kwg‡q ¯^vfvweK †ib‡Ri g‡a¨ Avb‡Z n‡e|  GKB iKgfv‡e †g‡q‡`i †ejvq wnmve wb¤œiƒc:

aiv hvK, †Kvb †g‡qi D”PZv 66Ó Zvi IR‡bi †iBbR& n‡e:
me©wb¤œ IRb n‡e 0.0272 X (66 X 66) = 118.48 cvDÛ = 52.65 †KwR
m‡e©v”P IRb n‡e 0.0367 X (66 X 66) = 159.86  cvDÛ = 71.04 †KwR
H GKB iKgfv‡e a‡i wb‡Z n‡e 66Ó D”PZvi †g‡q‡`i IRb 53 †KwR n‡Z 71 †KwRi g‡a¨ n‡Z n‡e| IRb Kg n‡j Lv‡`¨i cwigvY evov‡Z n‡e Ges †ewk n‡j Lv‡`¨i cwigvY Kgv‡Z n‡e|
GQvov Av‡iKUv c×wZ Av‡Q hv w`‡q Avcwb Avcbvi mwVK IRb ¯^vfvweK Av‡Q wKbv Rvbv hv‡e| GUv LyeB mnR| ïay GKUv wd‡Z w`‡q gvRvi gvc evi K‡i †`L‡Z n‡e| †g‡q‡`i  †ejvq hw` †Kvg‡ii gvc 32Ó Kg nq Z‡e eyS‡eb kix‡ii IRb mwVK Av‡Q| cyiæ‡li †ÿ‡Î 37Ó Kg n‡j mwVK wnmv‡e a‡i †bIqv hvq|

mwVK Lv`¨:
†h-‡Kvb Wv‡q‡ewUR †ivMvµvšÍ †ivMx Lv`¨ wb‡q wPwýZ bq Ggb †jvK cvIqv hv‡e bv| KviY Lv‡`¨i Dci i³ kK©ivi gvÎv wbf©i K‡i A‡bKLvwb| Wv‡q‡ewU‡R Lv`¨ wPwKrmvi GKUv Acwinvh© Ask| GUv wb‡q `ywðšÍvi †Kvb KviY †bB| mvaviY Lvevi wKQzUv A`j-e`j K‡i Ges wKQz wewa wb‡la †g‡b Avi cuvP R‡bi gZB ¯^v¯’¨m¤§Z Lv`¨ LvIqv †h‡Z cv‡i|

wewawb‡la :
LvIqvi GKUv wbw`ó mgq _vK‡e| memgq cwigvYg‡Zv mylg Lv`¨ †L‡Z n‡e| †Kvb mgq †ewk A_ev Kg LvIqv †_‡K weiZ _vK‡Z n‡e| w`b-ivwÎi cÖavb Avnvi †gvUvgywU wZbev‡i fvM K‡i GKB Lvevi bv †L‡q Lv‡`¨i cwigvY wVK †i‡L wewfbœ ai‡bi Lv`¨ †L‡Z n‡e|  cÖavb wZbevi Avnv‡ii gv‡S  mvgvb¨ RjLvevi †L‡Z n‡e| memgq jÿ ivL‡Z n‡e †ewk Lvevi †hb bv nq hv‡Z Avcbvi Bbmywjb cÖ‡qvRb nq  Avevi Lv`¨ hv‡Z Kg bv nq hv‡Z nvB‡cv nq|


  • d¨v‡Ui cwigvY Kgv‡Z n‡e| fvRv Lvevi LvIqv hv‡e ev| gvLb †Zvjv `ya LvIqv hv‡e|
  • Auvkmg„× Lvevi †ewk Lv‡eb| fvZ, Avjy, iæwU BZ¨vw` †k¦ZmviRvZxq Lvevi wnmve K‡i †L‡Z n‡e| Auvkhy³ Lvevi kix‡i †k¦Zmvi †kvl‡Yi nvi Kwg‡q †`q d‡j i‡³ kK©ivi cwigvY †Zgb evo‡Z cv‡i bv|
  • wPwb Ges wPwb w`‡q ˆZwi †h-‡Kvb Lvevi †_‡K weiZ _vK‡Z n‡e|
  • kix‡i IRb D”PZv Abyhvqx wVK ivL‡Z n‡e| IRb Kg ev †ewk n‡j Wv‡q‡ewU‡Ri Rb¨ Lvivc| Kg _vK‡j evovb Ges ‡ewk _vK‡j Kgvb| †Kbbv kix‡ii IRb hw` wVK _v‡K Z‡e Wv‡q‡ewUR wbqš¿Y Kiv A‡bK mnR nq|
  • jeYI Wv‡q‡ewU‡Ri Rb¨ fv‡jv bv| jeY LvIqvi gvÎv Kgv‡Z n‡e| †Póv Ki‡Z n‡e mvivw`b jeY LvIqv †hb `yB MÖv‡gi †ewk bv nq|
  • g`RvZxq Lvevi Gwo‡q Pjyb| G‡Z K¨vjwii msL¨v †ewk _v‡K| †ewki fvM †ÿ‡Î g` LvIqvi Af¨vm _vK‡j Lv‡`¨i K¨vjwii msL¨v †hvM n‡q cÖ‡qvR‡bi gvÎv Qvwo‡q hvq ZLb IRb †e‡o hvIqvi cÖeYZv ev‡o|
  • evRv‡ii †¯úkvj Wv‡q‡ewUR Lvevi Gwo‡q Pjyb| evRv‡i A‡bK ai‡bi Wv‡q‡ewUR Lvevi cvIqv hvq, †hgbt Wv‡q‡ewUR m‡›`k, R¨vg, †Rwj, we¯‹zU BZ¨vw`| hw`I GBme Lvev‡ii Mv‡q †jLv _v‡K Wv‡q‡ewUR e¨w³iv wbf©‡q †L‡Z cv‡ib ZeyI LvIqv DwPZ bq| e„wUk Wv‡q‡ewUR G‡mvwm‡qk‡bi e³e¨ Abyhvqx evwYwR¨Kfv‡e Drcvw`Z evRv‡ii Wv‡q‡ewUR Lvev‡i DcKvi e‡j wKQz †bB| GBme Lvevi wewµ eÜ nIqv DwPZ|
  • mvaviY civgk© n‡”Q Wv‡q‡ewU‡R Zv‡`i wbR¯^ cÖ‡qvRb Abyhvqx GKUv wbw`ó gvb eRvq †i‡L ¯^vfvweK ¯^v¯’¨Ki Lvevi LvIqv DwPZ| †Kvb ai‡bi Abkb, Dcevm ev †ivRv Kievi c~‡e© cÖ_‡gB Rvb‡Z n‡e Avcwb †Kvb UvB‡ci Wv‡q‡ewUR †ivMx| UvBc - 1 n‡j Aek¨B Dcevm ev †ivRv ivLv eÜ Ki‡Z n‡e| †Kbbv bv †L‡q _vK‡j nvB‡cv nevi m¤¢vebv _v‡K|


Jla:
Wv‡q‡ewUR aiv covi m‡½ m‡½ Wv³v‡ii civg‡k© e¨e¯’v wb‡Z n‡e| cÖ_gZ, Lv‡`¨i mvnv‡h¨ wbqš¿Y Kivi †Póv Ki‡Z n‡e| bv n‡j Lv`¨ Ges U¨ve‡j‡Ui mvnvh¨ wb‡Z n‡e †mB mv‡_ A¨vwKD‡cÖmvi †_ivwc wb‡Z n‡e|  Z‡e KviI KviI Bbmywjb Bb‡RKkb `iKvi n‡Z cv‡i| Wv‡q‡ewUR wPwKrmvq wewfbœ ai‡bi U¨ve‡jU e¨envi Kiv nq| AZGe Wv‡q‡ewU‡Ri Jla †L‡Z n‡j Aek¨B Wv³v‡ii civg‡k© LvIqv DwPZ| Jla, Lv`¨wbqg Ges cwigvY †g‡b †L‡Z n‡e| wb‡Ri B”Qvg‡Zv LvIqv Pj‡e bv| †hgbt fzjekZ LvIqvi c~‡e© U¨ve‡jU †L‡Z fz‡j †M‡jb ZvB e‡j c‡ii evi LvIqvi c~‡e© Wej U¨ve‡jU LvIqv hv‡e bv| GKUv K_v g‡b ivL‡Z n‡e Wv‡q‡ewUR wbqš¿‡Yi R‡b¨  †hme U¨ve‡jU e¨envi Kiv nq G¸wj Bbmywjb U¨ve‡jU bq|  Bbmywjb U¨ve‡jU AvKv‡i LvIqv hvq bv| KviY Bbmywjb GKUv †cÖvwUb †L‡j cvK¯’jx‡Z wM‡q nRg n‡q hvq Kv‡R jv‡M bv| ZvB Bbmywjb wb‡Z nq Bb‡RKkb wnmv‡e Pvgovi wb‡P| †h-‡Kvb ai‡bi Wv‡q‡ewU‡R AvµvšÍ †nvb bv †Kb Avcbv‡K Lv`¨, U¨ve‡jU A_ev Bbmywjb Bb‡RKkb wb‡q wbqš¿Y ivL‡ZB n‡e †Kbbv i‡³ kK©ivi cwigvY †e‡o †M‡j kix‡i bvbviKg †iv‡Mi m„wó n‡e|

nvievj Jla:
5000 nvRvi eQi c~e© n‡Z wewfbœ †iv‡M M¨v‡bvWvg©v jywmwWqvg bvgK GKai‡bi Jlax gvmiæg e¨envi n‡q Avm‡jI Avgv‡`i †`‡k Gi cwiwPwZ G‡Kev‡iB bMY¨| wPb, Rvcvb, fviZ mn cÖvq mKj cwðgv †`‡k Wvqv‡ewUR wbqš¿‡Yi Rb¨ e¨vcKfv‡e e¨envi Kiv nq| Avb‡›`i welq Avgv‡`i †`‡k eZ©gv‡b M¨v‡bvWvg©v jywmwWqvg, Pv wnmv‡e evRv‡i cvIqv hv‡”Q| GB Pv wbqwgZ mKvj Ges weKv‡j GK Kvc K‡i †L‡j Wvqv‡ewUR QvovI †ncvUvBwUm G, we Ges wm, ü`†ivM, c¨vivjvBm, cvBjmmn Ab¨vb¨ wW †Rbv‡iwUK †ivM wbivgq nq| GB Pv m¤ú~Y© AiMvwbK Ges cÖvK…wZK| GUv cvb Ki‡j †KvbiKg cvk¦©cÖwZwµqv nq bv| 

e¨vqvg:
e¨vqvg Wv‡q‡ewUR G ¸iæZ¡c~Y© f~wgKv enb K‡i| mvaviYZ Avgiv Rwwb wbqwgZ e¨vqvg  gvsm‡ckxi RoZv `~i K‡i| i³ PjvPj wbwe©Nœ nq Ges kixi my¯’¨ _v‡K| Wv‡q‡ewUR _vK‡j e¨vqvg Jl‡ai g‡Zv KvR K‡i| e¨vqvg A‡bK iKg Av‡Q, †hgbt nvuUv, mvB‡Kj Pvjv‡bv, muvZvi KvUv, ej, †Uwbm, e¨vWwg›Ub †Ljv, w¯‹wcs Kiv, wmwofv½v †_‡K ïiæ K‡i wRgbvwmqv‡g h‡š¿i mvnv‡h¨ e¨vqvg Kiv| nuvUv Qvov Ab¨ †h-‡Kvb e¨vqvg Wv³v‡ii civgk© Qvov Kiv DwPZ bq| Z‡e wbqwgZ mKv‡j nvuUv Wv‡q‡ewU‡Ri Rb¨ DËg| mvaviYZ Wv³viiv mßv‡n 2-3 NÈv e¨vqvg Kivi K_v e‡j _v‡Kb| M‡elYvq †`Lv †M‡Q wbqwgZ e¨vqvg A_ev nvU‡j UvBc- 2 Wvq‡ewUR wbqš¿‡Y _v‡K| hw` Ab¨ †ivM †_‡K _v‡K Z‡e Wv³v‡ii civg‡k© e¨vqvg Kiv DwPr|

Wv‡q‡ewUK wbivg‡q A¨vwKD‡cÖmvi
Wv‡q‡ewUR wb‡q hviv `ywðšÍvq Av‡Qb Zuv‡`i Rb¨ A¨vwKD‡cÖmvi GK g¨vwRK wPwKrmv c×wZ| Wv‡q‡ewUR cÖPwjZ wPwKrmve¨e¯’vq GKwU Awbivgq †ivM n‡jI A¨vwKD‡cÖmv‡i GB †ivM wbivgq‡hvM¨|

Wv‡q‡ewUR †ivM nIqvi Rb¨ kix‡ii AMœ¨vkq/ AšÍtmªvex (Pancreas) `vqx| GwU GKwU cvPKMÖwš’| Zv Qvov Bbmywjb Drcbœ Kivi Rb¨ G‡K AšÍtmªvexMÖwš’I e‡j| Gi wbM©Z im, Kv‡e©vnvB‡WªU, †cÖvwUb I Pwe©hy³ c`v‡_©i cvP‡b mvnvh¨ K‡i| G‡Z Drcbœ nIqv ÔBbmywjbÕ i‡³i kK©ivi mwVK gvÎv eRvq ivL‡Z mnvqZv K‡i| Pancreas Kvh©Ki _vK‡j kixi mPj I mRxe _v‡K|

Pancreas `ye©j n‡j hLb kix‡ii DÏxcbvi cÖ‡qvRb nq, ZLb GB AskwU ÔBbmywjbÕ wbtmi‡Yi MwZ Kwg‡q †`q| hvi d‡j kix‡ii AšÍtmªvexMÖwš’i Kvh©µg µgk axiMwZ n‡q c‡o, Bbmywjb Drcbœ evavMÖ¯’ n‡q c‡o, i‡³ kK©ivi mwVK gvÎvq _v‡K bv †mB Ae¯’v‡K Wv‡q‡ewUR ejv nq|

GB †ivMwU nIqvi Rb¨ AwbqwgZ, AcwiwgZ LvIqv, `ywðšÍv, `ªæZ Lv`¨ MÖn‡Yi Af¨vm QvovI i³Pvc, nRg cÖwµqv `ye©j n‡j Wv‡q‡ewUR nIqvi Ab¨Zg cÖavb KviY e‡j we‡ewPZ|

A¨vwKD‡cÖmvi Øviv Wv‡q‡ewUR wPwKrmv Kiv KZ¸‡jv mnR c×wZ i‡q‡Q, †mBme c×wZ wbqwgZ Ki‡j Ges mv‡_ Lv`¨vfvm cwieZ©b K‡i D‡jø­wLZ Lv`¨ MÖnY Ki‡j Wv‡q‡ewUR ïay wbqwš¿ZB n‡e bv wbg~©j Kiv m¤¢e|

cÖ_g av‡c A¨vwKD‡cÖmvi Kivi Rb¨ nvZ I cv‡qi wbw`©ó c‡q›U¸‡jv †R‡b wb‡Z n‡e| †mB c‡q›U¸‡jv‡Z cÖ_g Qqw`b wZb‡ejv A¨vwKD‡cÖmvi Ki‡Z n‡e| cÖ_g av‡c nv‡Z I cv‡qi me Av½y‡ji Dcwifv‡M `yB wgwbU g¨v‡mR Ki‡Z n‡e| Zvici Avgv‡`i cvPbZ‡š¿i mg¯Í c‡q›U †hgb: 22, 23, 27,29 bs c‡q‡›U cÖwZUvq cÂvkUv K‡i Pvc w`‡Z n‡e| Zvici 28 bs c‡q‡›U 50 wU Pvc †`qvi ci 25 bs c‡q‡›U 2 wgwbU Pvc w`‡Z n‡e| mevi †k‡l 26 bs c‡q‡›U 50 wU Pvc w`‡Z n‡e| nvZ I cv‡qi c‡q›U¸‡jv‡Z cÖPzi e¨_v cv‡eb| µgš^‡q †mB e¨_v¸‡jv K‡g hv‡e| Uvbv Qqw`b A¨vwKD‡cÖmvi Kivi ci GKw`b weiwZ †`‡eb|

Wvqv‡ewUR wbivg‡q gy`«v

gy`«v GK ai‡bi nv‡Zi Av½y‡ji fw½gv hv wn›`y‡`i ag©xq AvPvi Abyôv‡b e¨envi n‡q _v‡K| Rvbv g‡Z G ai‡bi 108 iK‡gi gy`«v Av‡Q| ‡h ‡Kvb gy`«v Avi¤¢ Ki‡jB kix‡ii Af¨šÍwib ‰Re we`¨yr cwievwn mœvqyi ms‡hvM N‡U| nv‡Zi GK Av½yj Av‡iK Av½y‡j mshy³ n‡jB djc«` c«wZwµqv ïi“ nq| cªvwPb Kvj ‡_‡K gywb Fwliv bvbv iKg gy`«v mn a¨vb K‡i kixi my¯’ ivL‡Zb Ges ‡ivM wbivgq Ki‡Zb| GUv wQj Zv‡`i wbR¯^ Avwe®‹…Z wPwKrmv c×wZ hv weMZ 5000 eQi a‡i fviZe‡l© P‡j Avm‡Q| gy`«vi c«avb KvR G nj  mœvqyM«wš’i gva¨‡g kix‡ii c«‡qvRb g‡Zv ‰Re we`¨yr gw¯Í‡®‹ ‡c«iY Kiv Ges †hLv‡b Kg c«‡qvRb †mLv‡b we`¨yr c«evn Kwg‡q †`qv|

c«wZw`b wb‡Pi gy`«v¸wj wKQy¶‡bi Rb¨ Af¨vm Ki‡j Wvqv‡ewURmn Ab¨ ‡iv‡Mi Dckg n‡e|


1. Ávb gy`«v
e…×v Av½y‡ji gv_v‡K ZR©bx w`‡q ¯úk© K‡i Ab¨ Av½yj ¸wj wP‡Îi g‡Zv ‡mvRv K‡i ivL‡Z n‡e| e…×v Av½y‡ji WMvq wcUyBUvwi Ges G‡ÛvµvBb M«wš’i mwܯ’j| GLv‡b ZR©bx Av½y‡ji nvév Pvc co‡jB GB `yB M«wš’ mPj n‡q hvq| ‡h ‡Kvb mgq `vwo‡q, e‡m A_ev ï‡q GB gy`«v mgq ‡c‡jB Kiv DwPr|

DcKvwiZvt

  • ¯§…wZkw³ e…w× Ki‡e|
  • GKvM«Zv evo‡e Ges fvj Nyg n‡e|
  • Wvqv‡ewUR wbqš¿Y Ki‡e|


2. c«vY gy`«v
AbvwgKv Ges Kwbôv Av½yj evuwK‡q e…×v Av½y‡ji gv_vq nvév Pvc ‡i‡L ZR©bx Ges ga¨gv Av½yj ‡mvRv K‡i ivL‡Z n‡e| GB gy`«v Rxebx kw³ e…w× K‡i| GUv wbqwgZ Ki‡j ‡`‡ni mg¯Í AiMvb ¸wj mwµq n‡q DV‡e| ‡h‡Kv‡bv mgq hZ¶Y B‡”Q Kiv hv‡e|

DcKvwiZvt

  • BwgDwbwU e…w× K‡i|
  • `…wó kw³ evovq Ges ‡Pv‡Li bvbv iKg ‡ivM wbivgq K‡i|
  • Wvqv‡ewUR wbqš¿‡Y mvnvh¨ K‡i|


3. Avcb gy`«v

ga¨gv Ges AbvwgKv Av½y‡ji WMv e…×v Av½y‡ji ‡Mvovq ‡P‡c ‡i‡L Ab¨ `yB Av½yj ‡mvRv ivL‡Z n‡e| c«wZw`b 45 wgwbU Ki‡Z n‡e|

DcKvwiZvt

  • Wvqv‡ewUR wbqš¿Y K‡i
  • KvôKvwVb¨ I Ak¦‡ivM fvj K‡i|
  • kix‡ii Uw·b ‡ei n‡Z mvnvh¨ K‡i




শহিদ আহমেদ ও এ আলম
সুচিকিৎসা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন 
      (আকুপ্রেসার সেন্টার)
২৯ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (৩য় তলা), ঢাকা।









diabetic

Wednesday, January 2, 2013

কচি গম ঘাসের রস - রোগ নিরাময়ের শ্রেষ্ঠ ঔষধ

 ইতিহাস

কচি গম পাতার রস প্রতিদিন পান করার অভ্যাস গড়ে তোলার পূর্বে আমাদের এর আবিষ্কারের ইতিহাস জানা প্রয়োজন। যদিও মহান সৃষ্টিকর্তা সবুজ পাতার রস শরীরের জন্য শ্রেষ্ঠ খাবার হিসাবে আমাদের উপহার দিয়েছেন। এর উপকার এবং বিরল ঔষধী গুন সম্বদ্ধে আমাদের দেশে প্রায় অজ্ঞাত রয়ে গেছে। দেখা যাক এই বিরল খাদ্য উপাদান কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু একটু খেয়াল করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে বন্য গরু, ছাগল, মহিষ, হরিণ সবাই জঙ্গলে সাধারণত ঘাসের এবং গাছের কচি পাতা খায় অথচ তাদের কত শক্তি খিপ্রতা এবং গতিবেগ। গবেষণায় দেখা গেছে গাছের পাতা মানুষ এবং বিভিন্ন প্রজাতির পশুপক্ষী কিট পতঙ্গের খাবার হিসাবে সরাসরি বা বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে।
পৃথিবীতে প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনে একটা ছোট ঘটনা থাকে। একইভাবে ১৯০০ সালে কোন এক সময় জার্মানীর এডমান্ড বোরডিঅঙ্গ নামক এক ভদ্রলোক বহু প্রাচীন একখানা বিবলিক্যাল্ (বাইবোল সম্বন্ধীয়) পান্ডুলিপি তার হস্তগত হয়। সেই বইয়ে জেসাস ক্রাইষ্ট খাদ্য সম্পর্কে একটি উপদেশ দিয়েছিলেন ” তোমরা খাদ্যকে রান্না করে মেরে ফেল না। ” এবং এই বই থেকে আরও জানতে পারল যে সমস্ত জাতের ঘাস মানুষের জন্য উপকারী এবং গমের ঘাস মানুষের জন্য উৎকৃষ্ট খাবার। তখন থেকেই গম ঘাস এর উপর আগ্রহ সৃষ্টির শুরু হল এবং নানা রকম গবেষনা চলতে থাকল। ১৯৪০ সালে চার্লস কে টারিং জেনারেল মটর এর সাবেক চেয়ারম্যান গম ঘাসের ক্লোরোফিল উপর আরো ব্যপক গবেষনার জন্য যথেষ্ট পরিমান অর্থ অনুদান দিলেন। এরপর থেকে গবেষক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীগন ব্যাপকভাবে একের এক গবেষনা লব্ধ প্রতিবেদন বার করতে থাকল। দেখা গেল গম ঘাস এর ক্লোরোফিল খুবই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রোগ আরোগ্যকারী একটি বিরল খাদ্য দ্রব্য। ১৯৪০ সালের কোন এক সময় এ্যান উইগমোর নামক এক মহিলা এই গম ঘাসের ক্লোরোফিল সমৃদ্ধ রস নিয়মিত খেয়ে ক্যানসার রোগ থেকে মুক্ত হয়ে ছিলেন। এরপর ঐ মহিলা তার এক বন্ধু ডা: অরেফ থমাস কে সঙ্গে নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোগ নিরাময় এর উপর ব্যাপক গবেষনা চালনা করেন। বিভিন্ন গবেষনায় দেখতে পান পৃথিবীতে প্রায় ৪৭০০ প্রকারের ঘাস পাওয়া যায় যেগুলি সব মানুষের জন্য উপকারী তবে গম ঘাসের রস বা তরল ক্লোরোফিল সর্বশ্রেষ্ঠ যাকে ঔষধী ঘাস হিসাবে বিবেচিত। এরপর মিসেস এ্যান উইগমোর বোস্টন শহরে একটা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন এবং সারা পৃথিবীর আগ্রহী লোকদের ঘাসের গুনাগুন এবং নিরাময়ের ক্ষমতা উপর শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তখন থেকেই গম ঘাসের তরল ক্লোরোফিল মানুষের কল্যানে ব্যবহার হয়ে আসছে। এরপর জাপানে এর উপর ব্যাপক গবেষনা শুরু হয়। জাপানের এক বিরাট ঔষধ কোম্পানীর মালিক দেখতে পেলেন তার কোম্পানীর ঔষধ থেকে গম ঘাসের রস রোগ নিরাময়ে অনেক বেশী শক্তিশালী এবং কার্যকরী। আগ্রহের বসবতি হয়ে তিনি চায়নিজ ঔষধ নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন একজন প্রখ্যাত চায়নিজ ঔষধ বিশেষজ্ঞ বলেছেন ”একমাত্র ডায়েটই শুধু শরীর সুস্থ্যভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং ডায়েটই শরীরের জন্য সর্বোত্তম ড্রাগ। ঠিক একই রকম ভাবে হিপোক্রেট্স যাকে পশ্চিমা বিশ্বে ঔষধের পিতা হিসাবে গন্য করে। তার সারা জীবনের গবেষনা লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেছেন ঐ একই কথা- ”খাদ্যই ঔষধ এবং খাদ্যই বিষ।” তাই আপনাকে জানতে হবে কোন খাদ্যগুলি শরীরের জন্য হিতকর এবং কোনগুলি নয়।

মহান আল্লাহ ইহ জগতের সমস্ত জীবের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য ডিজাইন করে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত প্রাণী তার নির্ধারিত খাদ্য সরাসরি খেয়ে থাকে শুধু মানুষ তার নির্ধারিত খাদ্য অলটার করে খেয়ে চলেছে এবং নানাভাবে গবেষনা করে চলেছে কিভাবে আরো পরিবর্তন করে খাদ্যকে স্বাদ করা যায়। একমাত্র মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী আল্লাহর ডিজাইন করা খাদ্য কোন পরিবর্তন না করে খেয়ে থাকে। তাই মানুষের মত বিভিন্ন রোগ প্রাণীদের হয় না। আল্লাহর ডিজাইন করা খাদ্য হচ্ছে সবুজ শাক সবজি, ফলমূল এবং নানা রকমের শস্যদানা। নানাভাবে রান্না করে এবং একে অপরের সঙ্গে মিশ্রিত করে যত পরিবর্তন করা হবে ততই খাদ্যের আরোগ্যকারী এবং রোগ প্রতিরোধক উপাদানের শক্তি কমে যাবে।

গম ঘাসের রস- উপকারীতা, পুষ্টিবিধান এবং ঔষধী গুন
প্রাথমিক অবস্থায় গমের গঠন উপাদানগুলি শস্য দানা অপেক্ষা সবজির উপাদানের সাথে সাদৃশ্য বলেই হয়ত গম চারাকে গম ঘাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুষ্টিমান বিবেচনায় বারলি এবং গম ঘাস প্রায় একই রকম। গম ঘাস ছোট অবস্থায় ভিটামিন, মিনারেল, এ্যানজাইম, এমাইনো এসিড এবং ক্লোরোফিলে ভরপুর থাকে। যত বড় হতে থাকে এর পুষ্টি উপাদান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাইতো কচি গম ঘাসকে প্রকৃতির উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসাবে বিবেচিত। এর ভিতর রোগ নিরাময়ের এমন সব বিরল উপাদান বিদ্যমান থাকে যা অন্য কোন উদ্ভিদে নেই।

গম চারার রস খুব সহজেই মুহুর্তের মধ্যে হজম হয়ে যায়। এই রস শরীরে টক্সিন মুক্ত করার বিরল ক্ষমতাসম্পন্ন এবং রোগ প্রতিরোধ করার শক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা অপরিসীম। গম ঘাসের পুষ্টিমান উপাদানের ঘনত্ব অনেক বেশী থাকে। এক আউন্স গম ঘাসের রস দেড় কেজি সবুজ পাতা জাতীয় সবজি অপেক্ষা বেশী। এই রস নিয়মিত সেবন করলে শরীরের কর্মশক্তি, সুস্থ্যতা, চামড়ার মসৃনতা, উচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।


গম ঘাসের পুষ্টি উপাদান
  এতে প্রচুর পরিমানে শরীরের জন্য অত্যান্ত জরুরী এনজাইম আছে যেমন প্রোটেজ, এমাইলেজ, লিপেজ ইত্যাদি। এই এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং সাবলিল করে।
  • প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম নামক মিনারেল আছে যা কিনা স্নায়ুর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। মাংস পেশী সচল রাখে এবং হজম প্রক্রিয়ার পাচন ক্ষমতা বাড়ায়।
  • গম ঘাসের রসকে অক্সিজেন আধার হিসাবে গন্য করা হয়। অক্সিজেন ছাড়া কোন কিছুই জীবিত থাকে না। এই অক্সিজেন শরীরের সমস্ত মাংস কোষকে সুস্থ্য এবং কার্যক্রম রাখে।
  • অপরিহার্য এমাইনো এসিড যেমন-এলানাইন, গ্লুটামিক এসিড এবং সেরিন ইত্যাদি আছে যা মাংস পেশীর শক্তিশালী কোষ গঠনে সাহায্য করে।
  • মিনারেল, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন যথেষ্ট পরিমানে আছে বিধায় শরীরের হাড় এবং দাঁত এর সুস্থ্যতা নিশ্চিত করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমানে আছে যা শরীরে শক্তির যোগান দেয়, শ্বাস প্রশ্বাসকে সাবলিল রাখে। শরীরের সমস্ত রাসায়নিক কার্যক্রম নির্বিঘœভাবে চলতে সাহায্য করে। রক্তের পিএইচ এর মাত্রা সঠিক রাখে।
  • এছাড়া জৈব সার দ্বারা উৎপাদিত কচি গম পাতার রসে মানুষের সু স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ১০২ প্রকারের খাদ্যপুষ্টি উপাদান আছে যা আর কোন খাদ্য দ্রব্যে নাই।
কচি গম ঘাসের রস কি করতে পারে
  • এটা সুক্ষ রক্তবাহী নালীর কার্যক্ষমতা বাড়ায় যার ফলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক থাকে
  • রক্তে হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি করে
  • শরীরের র্দুগন্ধ মুক্ত করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখে
  • চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।
  • চামড়ার মসৃনতা বৃদ্ধি করে।

কচি গম ঘাসের রসের বিষ/টক্সিন মুক্ত করন ক্ষমতা
  •  শরীরে কোন প্রকার হেবিমেটাল প্রবেশ করলে কচি গম ঘাসের রস এটাকে মুক্ত করতে পারে।
  • কোলনের টক্সিন পরিষ্কার করতে কচি গম ঘাসের রস ব্যবহার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন পরীক্ষিত আচার
  • টক্সিনমুক্ত করন ক্ষমতা অন্যান্য সবুজ শাক সবজি অপেক্ষা অনেক বেশী
 বিখ্যাত গবেষক গম ঘাসের রস দ্বারা বিগত ৩০ বৎসর যাবত কঠিন রোগের চিকিৎসা করেছেন। ১৯৪০ সালে আমেরিকান র্জানালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় ডা: বেনজামিন ক্রসকিন এমডি বলেছেন-গম ঘাসের ক্লোরোফিল শরীরের সব ধরনের অসুখ সারাতে অদ্বিতীয় এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।  সুইজারল্যান্ডের একজন বিখ্যাত রসায়নবিদ ডা: মাস্ক বিসার গবেষনা করে দেখেছেন গম ঘাসের রস যার মধ্যে ৭০% ক্লোরোফিল বিদ্যমান যা হার্ট এর কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে।

কিভাবে সহজে গম চারার রস পান করা যাবে
গম চারার রস নিজে করতে হবে এবং সম্ভব হলে ১ মিনিটের মধ্যেই পান করতে হবে। তাহলে এর মধ্যেকার জীবন্ত পুষ্টি এবং এনজাইজম এর সুফল পাওয়া যাবে।
অথবা বাজার থেকে কেনা গম চারার পাউডার পানি অথবা যে কোন ফলের রসের সঙ্গে পান করতে পারেন। পুষ্টি উপদান এবং এনজাইম নষ্ট না করে আধুনিক প্রক্রিয়ায় বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় বলে এটা পান করা যায়।
আমাদের দেশে এ ধরনের পন্য এখন পর্যন্ত উৎপাদনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই। তাই টবে গম চারা উৎপাদন করে এর থেকে রস তৈরি করে খাওয়া নিরাপদ। এছাড়া আমেরিকা, জার্মান, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে গম চারার বড়ি এবং ক্যাপসুল পাওয়া যায়। সেগুলি সংগ্রহ করতে পারলে খুব সহজেই ব্যাবহার করে এর সুফল পেতে পারেন।

শরীরে কোন রোগ থাকুক বা না থাকুক আপনি যদি নিয়মিত গম চারার রস পান করতে থাকেন দেখা যাবে আপনার সমস্ত রোগ নিরাময় হয়েছে আর কোন রোগ না থাকলে আপনার ভিতরে এক ধরনের অলৌকিক শক্তি অনুভব করবেন।

গম চারার রস কিভাবে কাজ করে
অক্সিজেন বুলেটের মত ক্যান্সার কোষ কে ধবংস করতে পারে, ঠিক সেই রকম গম চারার রস শরীরের ক্যান্সার কোষকে ধীরে হলেও ধবংস করে। ” ক্লোরোফিল এবং হিমোগ্লোবিন এর উভয়ের গঠন উপাদান প্রায় একই রকম। পার্থক্য শুধু এক জায়গায় ক্লোরোফিলের প্রধান মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম এবং হিমোগ্লোবিনের মিনারেল আয়রন। ক্লোরোফিল শরীরে সৃষ্ট বিষ কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভেঙ্গে এর মধ্যেকার অক্সিজেন মলিকুলকে মুক্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই ক্লোরোফিল শরীরের টক্সিন মুক্ত করার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হিসাবে বিবেচিত।”

যেকোন কঠিন রোগ যেমন-ক্যানসার, আলঝেমেয়ার, প্যারালাইসিস ইত্যাদি কচি গম পাতার রস প্রতিদিন দুবার এবং অঙ্কুরিত শস্যদানা কাচা সবজি এবং ফল বাদাম জাতীয় খাবার এক নাগাড়ে ৬ মাস খেলে সম্পূর্ন নিরাময় হয় বলে বহুবার প্রমানিত হয়েছে।
এছাড়া গম চারার রসে সেলেনিয়াম এবং লেটাইল নামক পদার্থ আছে যা কিনা ক্যান্সার প্রতিষধক রুপে কাজ করে।
ক্লোরোফিল এবং সেলেনিয়াম যৌথভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভ’মিকা পালন করে। গম চারার রস একটা উৎকৃষ্ট (ক্ষার) এ্যালকেনাইন খাদ্য যা পান করলে শরীরের ক্যামিক্যাল ভারসাম্যতা বজায় রাখে।

গম চারার রসে চিকিৎসা বিষয়ে যত রকম তথ্য উপাত্ত
(০১)    গম চারার রসে উৎকৃষ্ট মানের জীবন্ত ক্লোরোফিল পাওয়া যায়।
(০২)    আলোর প্রথম এবং প্রধান উৎপন্ন পন্য হচ্ছে ক্লোরোফিল যার মধ্যে সূর্যের শক্তি ভরপুর। গম চারার রস পান করার অর্থই হচ্ছে
সূর্যের শক্তিকে সরাসরি পান করা।
(০৩)    গম চারার রস একটা অশোধিত ক্লোরোফিল যেটা পান করা যায় এবং পায়ুপথ দিয়ে এটাকে পুস করে
কোলন বিষমুক্ত করা যায়।
(০৪)    এই ক্লোরোফিলের উপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর সমস্ত গাছপালা, লতাপাতা এবং ঘাস জীবন নিয়ে বেচে আছে।
(০৫)    সমস্ত উদ্ভিদ জগতে যেমন ক্লোরোফিল এর দ্বারা বেচে থাকে তেমনি শরীরের সমস্ত মাংস পেশী এবং মস্তিষ্কের কোষ
অক্সিজেন দ্বারা সিক্ত হয়ে জীবন্ত থাকে।
(০৬)     ক্লোরোফিল ব্যাকটেরিয়া ধংশ করার ক্ষমতা আছে। এটা শরীরের ভিতরে এবং বাহিরের সমস্ত  সংক্রামক
 রোগ নিরাময় করতে পারে।
(০৭)    ডা: বেনগার্ড জেনসন বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলেছেন-”গম চারার রস খাওয়ার পর শরীরের সামান্যতম শক্তি
Ÿ্যায় না করে এক মিনিটের মধ্যেই হজম হয়ে যায়।”
(০৮)    বিজ্ঞানীগন প্রমান করেছেন ক্লোরোফিল দেহের সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে দমন করার ক্ষমতা আছে।
(০৯)    রক্তশূন্যতা রোগীদের গম চারার রস খাওয়ালে ৪-৫ দিনের মধ্যেই নতুন রক্ত সৃষ্টি করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।

(১০)    রক্তশূন্যতা রোগীদের গম চারার রস খাওয়ালে ৪-৫ দিনের মধ্যেই নতুন রক্ত সৃষ্টি করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।
(১১)         পশ্চিমা দেশগুলির গরু খামারীরা দেখেছে গমের ঘাস খাওয়ালে গরুর ফর্টিলিটি বেড়ে যায়। গম ঘাসের প্রচুর
ম্যাগনসিয়াম যৌন হরমোন বৃদ্ধি করে যা বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
(১২)     সমস্ত উদ্ভিদ থেকে ক্লোরোফিল নিষ্কাশন করে ব্যাবহার করা যায় কিন্তু গম চারার রস মানব শরীরের জন্য সর্বোত্তম কেননা
এর মধ্যে দেহের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০০ ধরনের উপাদান আছে যা অন্য কোন উদ্ভিদ ক্লোরোফিলে নেই।
এছাড়া গম চারা জৈব সার দিয়ে জš§ালে মাটির মধ্যে বিদ্যমান ১০২ রকমের মিনারেলের ৯২ টাই শোষন করতে পারে।
(১৩)    তৃনভোজী প্রাণীদের শুধু গম ঘাস খাইয়ে বহুদিন বাচিয়ে রাখা যায়।
(১৪)    ডা: এ্যান উয়োগমোর একজন প্রাকৃতিক চিকিৎসক তার প্রতিষ্ঠানে পুরাতন কঠিন রোগ শুধু গম চারার রস পান
করিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আরোগ্য করে দেওয়া হয়।
(১৫)    তরল ক্লোরোফিল পান করার পর প্রতিটি রোগাগ্রস্থ্য মাংসের কোষে ঢুকে একে শোধন করে সুস্থ্য করে তোলে।
(১৬)    গম চারার রস অন্য যেকোন সবজি অথবা ফল থেকে রক্ত শোধন করার ক্ষমতা অনেক বেশী।
(১৭)    তরল ক্লোরোফিল শরীরের সঞ্চিত ঔষধের টক্সিন পরিষ্কার করে দেয়।
(১৮)    ক্লোরোফিল শরীরের অতিরিক্ত এসিডকে নিষ্ক্রীয় করে দেয়।
(১৯)    ক্লোরোফিল রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখে।
(২০)    ক্লোরোফিল লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে।
(২১)    এ্যালকেলাইন সমৃদ্ধ খাবার সঙ্গে নিয়মিত গম চারার রস পান করলে ৬-৭ মাসের মধ্যে শরীরের সমস্ত আচিল এবং
দাগ সরাইয়া দিতে পারে।
(২২)     ক্লোরোফিল শরীরের মধ্যে পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে যা শরীর র্দুগন্ধমুক্ত করে।
(২৩)    সামান্য পরিমান গম চারার রস নিয়মিত খেলে দাঁতের ক্ষয়রোগ দূর করে।
(২৪)    গম চারার রস ৫ মিনিট মুখের মধ্যে রাখলে দাঁতের যন্ত্রনা / ব্যাথা সেরে যাবে এবং গামের মধ্যকার বিষজাতীয় বজ্য
বার করে আনবে।
(২৫)    গম চারার রস দিয়ে গারগেল করলে গলা ব্যাথা সেরে যায়।
(২৬)    নিয়মিত গম চারার রস খেলে যেকোন কঠিন চর্ম রোগ সেরে যাায়।
(২৭)    দাঁতে পাইরিয়া রোগ হলে গম চারার রস দিয়ে নিয়মিত কুলকুচি করলে সেরে যাবে
(২৮)    কোন রোগ না থাকলেও গম চারার রস নিয়মিত খেলে শরীরের সুস্থ্যতার নিশ্চয়তা সারা জীবনের জন্য পাওয়া যায়।
(২৯)    গম চারার রস হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
(২৯)    গম চারার রসে অধিক পরিমানে এ্যানজাইম পাওয়া যায় যা হজমের জন্য সহায়ক।
(৩০)    গম চারার রস একটা উন্নত মানের চামড়ার ময়লা পরিষ্কারক এবং এর পুষ্টি চামড়া শোষন করতে পারে। বাতটাবে পানি সঙ্গে
        মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট শরীর ডুবিয়ে রাখলে শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল এবং ভিটামিন শুষে নেয়।
(৩১)    গম চারার রসে অধিক পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম আছে। এটা পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়।
(৩২)    ডা: ব্রিসার একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বলেছেন ক্লোরোফিল হচ্ছে সূর্যের শক্তি। এটা পান করলে হৃৎপিন্ড, ভাসকুলর সিস্টেম,
        পাকস্থলী, ফুসফুসের কার্যক্রমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৩৩)    গম চারার রস রক্তে উচ্চচাপ কমাতে পারে।
(৩৪)    গম চারার রস রক্তের সব ধরনের টক্সিন পরিষ্কার করতে পারে।

ঘরে গম চারা কিভাবে উৎপাদন করবেন
প্রথমে আপনাকে নি¤েœর উপকরনগুলি হাতের গোড়ায় জোগার রাখুন।
  • মাটি এবং গোবর সার
  • গমের বীজ
  •  টব কমপক্ষে ১০ টা
  • পানি স্প্রে করার বোতল
  • পুরান খবরের কাগজ / কালো প্লাষ্টিক সিট
  • গমবীজ পানিতে ভেজানোর জন্য পাত্র
এরপর ধাপে ধাপে নিচের প্রক্রিয়ায় গমচারা উৎপাদন করুন।

(০১)    গমের বীজ পরিষ্কার করে পানিতে ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। শীতকালীন গম বীজ চারা করার জন্য বেশী উপযোগী।
(০২)    অঙ্কুর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত একটা বড় কাচ অথবা অন্য কোন পাত্রে পানি ঝরিয়ে ১৬-২৪ ঘন্টা রাখতে হবে। এই সময়ের মধ্যে
    দিনে তিন বার পানিতে ভিজিয়ে সাথে সাথে পানি ঝরাতে হবে।
(০৩)    অঙ্কুরিত গমে যখন সাদা সাদা লেজ দেখা যাবে তখন টবের মাটির উপর এমনভাবে বিছাতে হবে যেন একটা গম আর
    একটা গমের উপর না থাকে। গমবীজ ছড়ানোর পূর্বে অবশ্যই টবের মাটি তৈরি করে নিতে হবে। ১ ভাগ গোবরের সার ও
৩ ভাগ মাটি ভালমত মিশিয়ে পানি ছিটিয়ে সামান্য ভিজা ভিজা করে নিতে হবে।
(০৪)    গমবীজ সব সময় যেন একটুখানি ভিজা থাকে এই জন্য অন্য একটা টব দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। অথবা একটা কাল প্লাষ্টিক
    সিট / খবরের কাগজ দিয়ে ৩ দিন ঢেকে রাখতে হবে।
(০৫)    বীজ লাগানোর প্রথম তিন দিন পানির স্প্রে করতে হবে দিনে একবার।
(০৬)    ৪র্থ দিন টবের মুখ খুলে দিতে হবে এবং টবটা এমন জায়গায় রাখতে হবে যে যথেষ্ট আলো পায়। প্রতিদিন ২ বার করে পানির
স্প্রে করতে হবে। পরবর্তী ২ দিনের মধ্যে গম চারা সুন্দর সবুজ রং ধারন করবে।
(০৭)    যদি বীজে ছত্রাক দেখা যায় তখন টব বাতাসে রাখতে হবে এবং এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন তাপমাত্রা ৬০-৪০ ডিগ্রী
থাকে। তাছাড়া ছত্রাক ধরা বীজগুলি টব থেকে সরিয়ে নিতে হবে যাতে অন্য ভাল বীজগুলি আক্রান্ত না হয়।
(০৮)    গম গাছের গোড়ায় দিকে আর একটা শাখা দেখা গেলে বুঝতে হবে চারা কেটে নেয়ায় সময় হয়েছে। গাছগুলি কাটতে ধারালো
কেচি হলে সমানভাবে কাটা যাবে। সাধারনত টবে বীজ ফেলার ৬-৯ দিনের মধ্যে চারা কেটে নেওয়ার উপযুক্ত হয়।
(০৯)    গম চারা কাটার পর সংরক্ষন করতে হলে মুখ বন্ধ কোন পাত্রে  ফ্রিজে ৬-৭ দিন রাখা যাবে। গম চারা কেটে নেওয়ার পর
পানি স্প্রে করলে আবার বড় হবে। তবে দ্বিতীয়বার এর পুষ্টিমান ৫০% থেকে ৭৫% কমে যায়। ঔষধী গুন পেতে হলে
প্রথমবারের চারা সংগ্রহ করতে হবে।