Wednesday, January 2, 2013

কচি গম ঘাসের রস - রোগ নিরাময়ের শ্রেষ্ঠ ঔষধ

 ইতিহাস

কচি গম পাতার রস প্রতিদিন পান করার অভ্যাস গড়ে তোলার পূর্বে আমাদের এর আবিষ্কারের ইতিহাস জানা প্রয়োজন। যদিও মহান সৃষ্টিকর্তা সবুজ পাতার রস শরীরের জন্য শ্রেষ্ঠ খাবার হিসাবে আমাদের উপহার দিয়েছেন। এর উপকার এবং বিরল ঔষধী গুন সম্বদ্ধে আমাদের দেশে প্রায় অজ্ঞাত রয়ে গেছে। দেখা যাক এই বিরল খাদ্য উপাদান কিভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু একটু খেয়াল করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে বন্য গরু, ছাগল, মহিষ, হরিণ সবাই জঙ্গলে সাধারণত ঘাসের এবং গাছের কচি পাতা খায় অথচ তাদের কত শক্তি খিপ্রতা এবং গতিবেগ। গবেষণায় দেখা গেছে গাছের পাতা মানুষ এবং বিভিন্ন প্রজাতির পশুপক্ষী কিট পতঙ্গের খাবার হিসাবে সরাসরি বা বিকল্প হিসাবে ব্যাবহার হয়ে আসছে।
পৃথিবীতে প্রতিটি আবিষ্কারের পিছনে একটা ছোট ঘটনা থাকে। একইভাবে ১৯০০ সালে কোন এক সময় জার্মানীর এডমান্ড বোরডিঅঙ্গ নামক এক ভদ্রলোক বহু প্রাচীন একখানা বিবলিক্যাল্ (বাইবোল সম্বন্ধীয়) পান্ডুলিপি তার হস্তগত হয়। সেই বইয়ে জেসাস ক্রাইষ্ট খাদ্য সম্পর্কে একটি উপদেশ দিয়েছিলেন ” তোমরা খাদ্যকে রান্না করে মেরে ফেল না। ” এবং এই বই থেকে আরও জানতে পারল যে সমস্ত জাতের ঘাস মানুষের জন্য উপকারী এবং গমের ঘাস মানুষের জন্য উৎকৃষ্ট খাবার। তখন থেকেই গম ঘাস এর উপর আগ্রহ সৃষ্টির শুরু হল এবং নানা রকম গবেষনা চলতে থাকল। ১৯৪০ সালে চার্লস কে টারিং জেনারেল মটর এর সাবেক চেয়ারম্যান গম ঘাসের ক্লোরোফিল উপর আরো ব্যপক গবেষনার জন্য যথেষ্ট পরিমান অর্থ অনুদান দিলেন। এরপর থেকে গবেষক এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানীগন ব্যাপকভাবে একের এক গবেষনা লব্ধ প্রতিবেদন বার করতে থাকল। দেখা গেল গম ঘাস এর ক্লোরোফিল খুবই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন রোগ আরোগ্যকারী একটি বিরল খাদ্য দ্রব্য। ১৯৪০ সালের কোন এক সময় এ্যান উইগমোর নামক এক মহিলা এই গম ঘাসের ক্লোরোফিল সমৃদ্ধ রস নিয়মিত খেয়ে ক্যানসার রোগ থেকে মুক্ত হয়ে ছিলেন। এরপর ঐ মহিলা তার এক বন্ধু ডা: অরেফ থমাস কে সঙ্গে নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোগ নিরাময় এর উপর ব্যাপক গবেষনা চালনা করেন। বিভিন্ন গবেষনায় দেখতে পান পৃথিবীতে প্রায় ৪৭০০ প্রকারের ঘাস পাওয়া যায় যেগুলি সব মানুষের জন্য উপকারী তবে গম ঘাসের রস বা তরল ক্লোরোফিল সর্বশ্রেষ্ঠ যাকে ঔষধী ঘাস হিসাবে বিবেচিত। এরপর মিসেস এ্যান উইগমোর বোস্টন শহরে একটা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন এবং সারা পৃথিবীর আগ্রহী লোকদের ঘাসের গুনাগুন এবং নিরাময়ের ক্ষমতা উপর শিক্ষা দিতে শুরু করেন। তখন থেকেই গম ঘাসের তরল ক্লোরোফিল মানুষের কল্যানে ব্যবহার হয়ে আসছে। এরপর জাপানে এর উপর ব্যাপক গবেষনা শুরু হয়। জাপানের এক বিরাট ঔষধ কোম্পানীর মালিক দেখতে পেলেন তার কোম্পানীর ঔষধ থেকে গম ঘাসের রস রোগ নিরাময়ে অনেক বেশী শক্তিশালী এবং কার্যকরী। আগ্রহের বসবতি হয়ে তিনি চায়নিজ ঔষধ নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন একজন প্রখ্যাত চায়নিজ ঔষধ বিশেষজ্ঞ বলেছেন ”একমাত্র ডায়েটই শুধু শরীর সুস্থ্যভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং ডায়েটই শরীরের জন্য সর্বোত্তম ড্রাগ। ঠিক একই রকম ভাবে হিপোক্রেট্স যাকে পশ্চিমা বিশ্বে ঔষধের পিতা হিসাবে গন্য করে। তার সারা জীবনের গবেষনা লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বলেছেন ঐ একই কথা- ”খাদ্যই ঔষধ এবং খাদ্যই বিষ।” তাই আপনাকে জানতে হবে কোন খাদ্যগুলি শরীরের জন্য হিতকর এবং কোনগুলি নয়।

মহান আল্লাহ ইহ জগতের সমস্ত জীবের জন্য আলাদা আলাদা খাদ্য ডিজাইন করে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত প্রাণী তার নির্ধারিত খাদ্য সরাসরি খেয়ে থাকে শুধু মানুষ তার নির্ধারিত খাদ্য অলটার করে খেয়ে চলেছে এবং নানাভাবে গবেষনা করে চলেছে কিভাবে আরো পরিবর্তন করে খাদ্যকে স্বাদ করা যায়। একমাত্র মানুষ ছাড়া প্রতিটি প্রাণী আল্লাহর ডিজাইন করা খাদ্য কোন পরিবর্তন না করে খেয়ে থাকে। তাই মানুষের মত বিভিন্ন রোগ প্রাণীদের হয় না। আল্লাহর ডিজাইন করা খাদ্য হচ্ছে সবুজ শাক সবজি, ফলমূল এবং নানা রকমের শস্যদানা। নানাভাবে রান্না করে এবং একে অপরের সঙ্গে মিশ্রিত করে যত পরিবর্তন করা হবে ততই খাদ্যের আরোগ্যকারী এবং রোগ প্রতিরোধক উপাদানের শক্তি কমে যাবে।

গম ঘাসের রস- উপকারীতা, পুষ্টিবিধান এবং ঔষধী গুন
প্রাথমিক অবস্থায় গমের গঠন উপাদানগুলি শস্য দানা অপেক্ষা সবজির উপাদানের সাথে সাদৃশ্য বলেই হয়ত গম চারাকে গম ঘাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুষ্টিমান বিবেচনায় বারলি এবং গম ঘাস প্রায় একই রকম। গম ঘাস ছোট অবস্থায় ভিটামিন, মিনারেল, এ্যানজাইম, এমাইনো এসিড এবং ক্লোরোফিলে ভরপুর থাকে। যত বড় হতে থাকে এর পুষ্টি উপাদান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাইতো কচি গম ঘাসকে প্রকৃতির উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসাবে বিবেচিত। এর ভিতর রোগ নিরাময়ের এমন সব বিরল উপাদান বিদ্যমান থাকে যা অন্য কোন উদ্ভিদে নেই।

গম চারার রস খুব সহজেই মুহুর্তের মধ্যে হজম হয়ে যায়। এই রস শরীরে টক্সিন মুক্ত করার বিরল ক্ষমতাসম্পন্ন এবং রোগ প্রতিরোধ করার শক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষমতা অপরিসীম। গম ঘাসের পুষ্টিমান উপাদানের ঘনত্ব অনেক বেশী থাকে। এক আউন্স গম ঘাসের রস দেড় কেজি সবুজ পাতা জাতীয় সবজি অপেক্ষা বেশী। এই রস নিয়মিত সেবন করলে শরীরের কর্মশক্তি, সুস্থ্যতা, চামড়ার মসৃনতা, উচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।


গম ঘাসের পুষ্টি উপাদান
  এতে প্রচুর পরিমানে শরীরের জন্য অত্যান্ত জরুরী এনজাইম আছে যেমন প্রোটেজ, এমাইলেজ, লিপেজ ইত্যাদি। এই এনজাইম হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং সাবলিল করে।
  • প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম নামক মিনারেল আছে যা কিনা স্নায়ুর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। মাংস পেশী সচল রাখে এবং হজম প্রক্রিয়ার পাচন ক্ষমতা বাড়ায়।
  • গম ঘাসের রসকে অক্সিজেন আধার হিসাবে গন্য করা হয়। অক্সিজেন ছাড়া কোন কিছুই জীবিত থাকে না। এই অক্সিজেন শরীরের সমস্ত মাংস কোষকে সুস্থ্য এবং কার্যক্রম রাখে।
  • অপরিহার্য এমাইনো এসিড যেমন-এলানাইন, গ্লুটামিক এসিড এবং সেরিন ইত্যাদি আছে যা মাংস পেশীর শক্তিশালী কোষ গঠনে সাহায্য করে।
  • মিনারেল, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন যথেষ্ট পরিমানে আছে বিধায় শরীরের হাড় এবং দাঁত এর সুস্থ্যতা নিশ্চিত করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমানে আছে যা শরীরে শক্তির যোগান দেয়, শ্বাস প্রশ্বাসকে সাবলিল রাখে। শরীরের সমস্ত রাসায়নিক কার্যক্রম নির্বিঘœভাবে চলতে সাহায্য করে। রক্তের পিএইচ এর মাত্রা সঠিক রাখে।
  • এছাড়া জৈব সার দ্বারা উৎপাদিত কচি গম পাতার রসে মানুষের সু স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ১০২ প্রকারের খাদ্যপুষ্টি উপাদান আছে যা আর কোন খাদ্য দ্রব্যে নাই।
কচি গম ঘাসের রস কি করতে পারে
  • এটা সুক্ষ রক্তবাহী নালীর কার্যক্ষমতা বাড়ায় যার ফলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক থাকে
  • রক্তে হিমোগ্লোবিন সৃষ্টি করে
  • শরীরের র্দুগন্ধ মুক্ত করে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখে
  • চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।
  • চামড়ার মসৃনতা বৃদ্ধি করে।

কচি গম ঘাসের রসের বিষ/টক্সিন মুক্ত করন ক্ষমতা
  •  শরীরে কোন প্রকার হেবিমেটাল প্রবেশ করলে কচি গম ঘাসের রস এটাকে মুক্ত করতে পারে।
  • কোলনের টক্সিন পরিষ্কার করতে কচি গম ঘাসের রস ব্যবহার একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন পরীক্ষিত আচার
  • টক্সিনমুক্ত করন ক্ষমতা অন্যান্য সবুজ শাক সবজি অপেক্ষা অনেক বেশী
 বিখ্যাত গবেষক গম ঘাসের রস দ্বারা বিগত ৩০ বৎসর যাবত কঠিন রোগের চিকিৎসা করেছেন। ১৯৪০ সালে আমেরিকান র্জানালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় ডা: বেনজামিন ক্রসকিন এমডি বলেছেন-গম ঘাসের ক্লোরোফিল শরীরের সব ধরনের অসুখ সারাতে অদ্বিতীয় এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন।  সুইজারল্যান্ডের একজন বিখ্যাত রসায়নবিদ ডা: মাস্ক বিসার গবেষনা করে দেখেছেন গম ঘাসের রস যার মধ্যে ৭০% ক্লোরোফিল বিদ্যমান যা হার্ট এর কার্যকারীতা বৃদ্ধি করে।

কিভাবে সহজে গম চারার রস পান করা যাবে
গম চারার রস নিজে করতে হবে এবং সম্ভব হলে ১ মিনিটের মধ্যেই পান করতে হবে। তাহলে এর মধ্যেকার জীবন্ত পুষ্টি এবং এনজাইজম এর সুফল পাওয়া যাবে।
অথবা বাজার থেকে কেনা গম চারার পাউডার পানি অথবা যে কোন ফলের রসের সঙ্গে পান করতে পারেন। পুষ্টি উপদান এবং এনজাইম নষ্ট না করে আধুনিক প্রক্রিয়ায় বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা হয় বলে এটা পান করা যায়।
আমাদের দেশে এ ধরনের পন্য এখন পর্যন্ত উৎপাদনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই। তাই টবে গম চারা উৎপাদন করে এর থেকে রস তৈরি করে খাওয়া নিরাপদ। এছাড়া আমেরিকা, জার্মান, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে গম চারার বড়ি এবং ক্যাপসুল পাওয়া যায়। সেগুলি সংগ্রহ করতে পারলে খুব সহজেই ব্যাবহার করে এর সুফল পেতে পারেন।

শরীরে কোন রোগ থাকুক বা না থাকুক আপনি যদি নিয়মিত গম চারার রস পান করতে থাকেন দেখা যাবে আপনার সমস্ত রোগ নিরাময় হয়েছে আর কোন রোগ না থাকলে আপনার ভিতরে এক ধরনের অলৌকিক শক্তি অনুভব করবেন।

গম চারার রস কিভাবে কাজ করে
অক্সিজেন বুলেটের মত ক্যান্সার কোষ কে ধবংস করতে পারে, ঠিক সেই রকম গম চারার রস শরীরের ক্যান্সার কোষকে ধীরে হলেও ধবংস করে। ” ক্লোরোফিল এবং হিমোগ্লোবিন এর উভয়ের গঠন উপাদান প্রায় একই রকম। পার্থক্য শুধু এক জায়গায় ক্লোরোফিলের প্রধান মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম এবং হিমোগ্লোবিনের মিনারেল আয়রন। ক্লোরোফিল শরীরে সৃষ্ট বিষ কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভেঙ্গে এর মধ্যেকার অক্সিজেন মলিকুলকে মুক্ত করার ক্ষমতা আছে। তাই ক্লোরোফিল শরীরের টক্সিন মুক্ত করার শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হিসাবে বিবেচিত।”

যেকোন কঠিন রোগ যেমন-ক্যানসার, আলঝেমেয়ার, প্যারালাইসিস ইত্যাদি কচি গম পাতার রস প্রতিদিন দুবার এবং অঙ্কুরিত শস্যদানা কাচা সবজি এবং ফল বাদাম জাতীয় খাবার এক নাগাড়ে ৬ মাস খেলে সম্পূর্ন নিরাময় হয় বলে বহুবার প্রমানিত হয়েছে।
এছাড়া গম চারার রসে সেলেনিয়াম এবং লেটাইল নামক পদার্থ আছে যা কিনা ক্যান্সার প্রতিষধক রুপে কাজ করে।
ক্লোরোফিল এবং সেলেনিয়াম যৌথভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভ’মিকা পালন করে। গম চারার রস একটা উৎকৃষ্ট (ক্ষার) এ্যালকেনাইন খাদ্য যা পান করলে শরীরের ক্যামিক্যাল ভারসাম্যতা বজায় রাখে।

গম চারার রসে চিকিৎসা বিষয়ে যত রকম তথ্য উপাত্ত
(০১)    গম চারার রসে উৎকৃষ্ট মানের জীবন্ত ক্লোরোফিল পাওয়া যায়।
(০২)    আলোর প্রথম এবং প্রধান উৎপন্ন পন্য হচ্ছে ক্লোরোফিল যার মধ্যে সূর্যের শক্তি ভরপুর। গম চারার রস পান করার অর্থই হচ্ছে
সূর্যের শক্তিকে সরাসরি পান করা।
(০৩)    গম চারার রস একটা অশোধিত ক্লোরোফিল যেটা পান করা যায় এবং পায়ুপথ দিয়ে এটাকে পুস করে
কোলন বিষমুক্ত করা যায়।
(০৪)    এই ক্লোরোফিলের উপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর সমস্ত গাছপালা, লতাপাতা এবং ঘাস জীবন নিয়ে বেচে আছে।
(০৫)    সমস্ত উদ্ভিদ জগতে যেমন ক্লোরোফিল এর দ্বারা বেচে থাকে তেমনি শরীরের সমস্ত মাংস পেশী এবং মস্তিষ্কের কোষ
অক্সিজেন দ্বারা সিক্ত হয়ে জীবন্ত থাকে।
(০৬)     ক্লোরোফিল ব্যাকটেরিয়া ধংশ করার ক্ষমতা আছে। এটা শরীরের ভিতরে এবং বাহিরের সমস্ত  সংক্রামক
 রোগ নিরাময় করতে পারে।
(০৭)    ডা: বেনগার্ড জেনসন বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলেছেন-”গম চারার রস খাওয়ার পর শরীরের সামান্যতম শক্তি
Ÿ্যায় না করে এক মিনিটের মধ্যেই হজম হয়ে যায়।”
(০৮)    বিজ্ঞানীগন প্রমান করেছেন ক্লোরোফিল দেহের সমস্ত ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে দমন করার ক্ষমতা আছে।
(০৯)    রক্তশূন্যতা রোগীদের গম চারার রস খাওয়ালে ৪-৫ দিনের মধ্যেই নতুন রক্ত সৃষ্টি করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।

(১০)    রক্তশূন্যতা রোগীদের গম চারার রস খাওয়ালে ৪-৫ দিনের মধ্যেই নতুন রক্ত সৃষ্টি করে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে।
(১১)         পশ্চিমা দেশগুলির গরু খামারীরা দেখেছে গমের ঘাস খাওয়ালে গরুর ফর্টিলিটি বেড়ে যায়। গম ঘাসের প্রচুর
ম্যাগনসিয়াম যৌন হরমোন বৃদ্ধি করে যা বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
(১২)     সমস্ত উদ্ভিদ থেকে ক্লোরোফিল নিষ্কাশন করে ব্যাবহার করা যায় কিন্তু গম চারার রস মানব শরীরের জন্য সর্বোত্তম কেননা
এর মধ্যে দেহের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০০ ধরনের উপাদান আছে যা অন্য কোন উদ্ভিদ ক্লোরোফিলে নেই।
এছাড়া গম চারা জৈব সার দিয়ে জš§ালে মাটির মধ্যে বিদ্যমান ১০২ রকমের মিনারেলের ৯২ টাই শোষন করতে পারে।
(১৩)    তৃনভোজী প্রাণীদের শুধু গম ঘাস খাইয়ে বহুদিন বাচিয়ে রাখা যায়।
(১৪)    ডা: এ্যান উয়োগমোর একজন প্রাকৃতিক চিকিৎসক তার প্রতিষ্ঠানে পুরাতন কঠিন রোগ শুধু গম চারার রস পান
করিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আরোগ্য করে দেওয়া হয়।
(১৫)    তরল ক্লোরোফিল পান করার পর প্রতিটি রোগাগ্রস্থ্য মাংসের কোষে ঢুকে একে শোধন করে সুস্থ্য করে তোলে।
(১৬)    গম চারার রস অন্য যেকোন সবজি অথবা ফল থেকে রক্ত শোধন করার ক্ষমতা অনেক বেশী।
(১৭)    তরল ক্লোরোফিল শরীরের সঞ্চিত ঔষধের টক্সিন পরিষ্কার করে দেয়।
(১৮)    ক্লোরোফিল শরীরের অতিরিক্ত এসিডকে নিষ্ক্রীয় করে দেয়।
(১৯)    ক্লোরোফিল রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা রাখে।
(২০)    ক্লোরোফিল লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে।
(২১)    এ্যালকেলাইন সমৃদ্ধ খাবার সঙ্গে নিয়মিত গম চারার রস পান করলে ৬-৭ মাসের মধ্যে শরীরের সমস্ত আচিল এবং
দাগ সরাইয়া দিতে পারে।
(২২)     ক্লোরোফিল শরীরের মধ্যে পরিষ্কারক হিসাবে কাজ করে যা শরীর র্দুগন্ধমুক্ত করে।
(২৩)    সামান্য পরিমান গম চারার রস নিয়মিত খেলে দাঁতের ক্ষয়রোগ দূর করে।
(২৪)    গম চারার রস ৫ মিনিট মুখের মধ্যে রাখলে দাঁতের যন্ত্রনা / ব্যাথা সেরে যাবে এবং গামের মধ্যকার বিষজাতীয় বজ্য
বার করে আনবে।
(২৫)    গম চারার রস দিয়ে গারগেল করলে গলা ব্যাথা সেরে যায়।
(২৬)    নিয়মিত গম চারার রস খেলে যেকোন কঠিন চর্ম রোগ সেরে যাায়।
(২৭)    দাঁতে পাইরিয়া রোগ হলে গম চারার রস দিয়ে নিয়মিত কুলকুচি করলে সেরে যাবে
(২৮)    কোন রোগ না থাকলেও গম চারার রস নিয়মিত খেলে শরীরের সুস্থ্যতার নিশ্চয়তা সারা জীবনের জন্য পাওয়া যায়।
(২৯)    গম চারার রস হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
(২৯)    গম চারার রসে অধিক পরিমানে এ্যানজাইম পাওয়া যায় যা হজমের জন্য সহায়ক।
(৩০)    গম চারার রস একটা উন্নত মানের চামড়ার ময়লা পরিষ্কারক এবং এর পুষ্টি চামড়া শোষন করতে পারে। বাতটাবে পানি সঙ্গে
        মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট শরীর ডুবিয়ে রাখলে শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল এবং ভিটামিন শুষে নেয়।
(৩১)    গম চারার রসে অধিক পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম আছে। এটা পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়।
(৩২)    ডা: ব্রিসার একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী বলেছেন ক্লোরোফিল হচ্ছে সূর্যের শক্তি। এটা পান করলে হৃৎপিন্ড, ভাসকুলর সিস্টেম,
        পাকস্থলী, ফুসফুসের কার্যক্রমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(৩৩)    গম চারার রস রক্তে উচ্চচাপ কমাতে পারে।
(৩৪)    গম চারার রস রক্তের সব ধরনের টক্সিন পরিষ্কার করতে পারে।

ঘরে গম চারা কিভাবে উৎপাদন করবেন
প্রথমে আপনাকে নি¤েœর উপকরনগুলি হাতের গোড়ায় জোগার রাখুন।
  • মাটি এবং গোবর সার
  • গমের বীজ
  •  টব কমপক্ষে ১০ টা
  • পানি স্প্রে করার বোতল
  • পুরান খবরের কাগজ / কালো প্লাষ্টিক সিট
  • গমবীজ পানিতে ভেজানোর জন্য পাত্র
এরপর ধাপে ধাপে নিচের প্রক্রিয়ায় গমচারা উৎপাদন করুন।

(০১)    গমের বীজ পরিষ্কার করে পানিতে ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। শীতকালীন গম বীজ চারা করার জন্য বেশী উপযোগী।
(০২)    অঙ্কুর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত একটা বড় কাচ অথবা অন্য কোন পাত্রে পানি ঝরিয়ে ১৬-২৪ ঘন্টা রাখতে হবে। এই সময়ের মধ্যে
    দিনে তিন বার পানিতে ভিজিয়ে সাথে সাথে পানি ঝরাতে হবে।
(০৩)    অঙ্কুরিত গমে যখন সাদা সাদা লেজ দেখা যাবে তখন টবের মাটির উপর এমনভাবে বিছাতে হবে যেন একটা গম আর
    একটা গমের উপর না থাকে। গমবীজ ছড়ানোর পূর্বে অবশ্যই টবের মাটি তৈরি করে নিতে হবে। ১ ভাগ গোবরের সার ও
৩ ভাগ মাটি ভালমত মিশিয়ে পানি ছিটিয়ে সামান্য ভিজা ভিজা করে নিতে হবে।
(০৪)    গমবীজ সব সময় যেন একটুখানি ভিজা থাকে এই জন্য অন্য একটা টব দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। অথবা একটা কাল প্লাষ্টিক
    সিট / খবরের কাগজ দিয়ে ৩ দিন ঢেকে রাখতে হবে।
(০৫)    বীজ লাগানোর প্রথম তিন দিন পানির স্প্রে করতে হবে দিনে একবার।
(০৬)    ৪র্থ দিন টবের মুখ খুলে দিতে হবে এবং টবটা এমন জায়গায় রাখতে হবে যে যথেষ্ট আলো পায়। প্রতিদিন ২ বার করে পানির
স্প্রে করতে হবে। পরবর্তী ২ দিনের মধ্যে গম চারা সুন্দর সবুজ রং ধারন করবে।
(০৭)    যদি বীজে ছত্রাক দেখা যায় তখন টব বাতাসে রাখতে হবে এবং এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন তাপমাত্রা ৬০-৪০ ডিগ্রী
থাকে। তাছাড়া ছত্রাক ধরা বীজগুলি টব থেকে সরিয়ে নিতে হবে যাতে অন্য ভাল বীজগুলি আক্রান্ত না হয়।
(০৮)    গম গাছের গোড়ায় দিকে আর একটা শাখা দেখা গেলে বুঝতে হবে চারা কেটে নেয়ায় সময় হয়েছে। গাছগুলি কাটতে ধারালো
কেচি হলে সমানভাবে কাটা যাবে। সাধারনত টবে বীজ ফেলার ৬-৯ দিনের মধ্যে চারা কেটে নেওয়ার উপযুক্ত হয়।
(০৯)    গম চারা কাটার পর সংরক্ষন করতে হলে মুখ বন্ধ কোন পাত্রে  ফ্রিজে ৬-৭ দিন রাখা যাবে। গম চারা কেটে নেওয়ার পর
পানি স্প্রে করলে আবার বড় হবে। তবে দ্বিতীয়বার এর পুষ্টিমান ৫০% থেকে ৭৫% কমে যায়। ঔষধী গুন পেতে হলে
প্রথমবারের চারা সংগ্রহ করতে হবে।

1 comment:

  1. Slot Machine Gaming for PC - Dr.MCD
    Video Slot Machine Gaming, or VideoTops, is 당진 출장안마 a leader in the production and gaming 전라북도 출장샵 solutions 도레미시디 출장샵 and solutions industry. 보령 출장마사지 Dr.MCD provides 청주 출장마사지

    ReplyDelete